ক্যান্সার হওয়ার পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। জেনেটিকস ও লাইফস্টাইল। যদি আপনার পরিবারের মধ্যে কারোর ক্যান্সারের ইতিহাস থাকে, তবে আপনার মধ্যেও ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে শুধু জিনগত কারণ নয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন দায়ী।ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রসেসড ফুড, মদ্যপান এবং ধূমপান এড়িয়ে চলা উচিত। মূলত শাক-সবজি, ফল-মূল ইত্যাদি খেলে যেকোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। তবে এমন কিছু মসলা রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এগুলোতে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের বিকাশ বন্ধ করতে পারে।
হলুদ
হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক যৌগটি দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ব্রেস্ট, কোলন এবং প্যানক্রিয়াসে ক্যান্সারের কোষ গঠন হতে বাধা দেয়। রেডিয়েশন থেরাপির সময় এটি ভালো কোষগুলোকে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করে।
মরিচ গুঁড়া
মরিচ গুঁড়ার মধ্যে অ্যান্টি-ক্যান্সার উপাদান রয়েছে।
এতে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে। যা ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে কাজ করে। মরিচ গুঁড়ার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া এটি ফ্রি র্যাডিক্যালসের সঙ্গে লড়াই করে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
দারুচিনি
দারুচিনি শুধু খাবারে স্বাদ বাড়ায় না।এটি দেহের জন্য একাধিক উপকারিতা প্রদান করে। এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে। যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি বন্ধ করে। দারুচিনির মধ্যে থাকা পলিফেনল ও ফ্ল্যাভনয়েড ক্যান্সার কোষের ক্ষয় রোধ করে। এই মসলায় কিছু যৌগ রয়েছে, যা টিউমার বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কাজ করে।